প্রথম ইনিংসে ৬১ রানেই পাচ উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকা রাজশাহীর হাল ধরেন মেহেদি হাসান ও নুরুল হাসান সোহান। দুইজনে মিলে করেন ৮৯ রানের পার্টনারশিপ। শেষ পর্যন্ত আউট হওয়ার আগে মেহেদির সংগ্রহ ছিল ৩২ বলে ৫০ রান৷
ব্যাটিং দুর্দান্ত খেলার পর দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারেই মেহেদির হাতে বল তুলে দেন দলীয় অধিনায়ক শান্ত। প্রথম বলেই চার খাওয়ার পর ও ওভাত শেষ করেন মাত্র পাচ রানে৷ বাকি দুই ওভার ও করেন পাওয়ার প্লের মধ্যেই।
ম্যাচের শেষ ভাগে যখন শেষ ওভারে প্রয়োজন মাত্র ৯ রান, পিচে আছেন আগের ওভারেই তিন ছয় মারা মোক্তার আলী, তখন অধিনায়ক শান্ত ভরসা করেন মেহেদির অফ স্পিনে। প্রথম তিন বল ইয়র্কার লেন্থে ফেলে তুলে নেন ডট। চতুর্থ বল ও ইয়র্কারের চেষ্টায় করলেও ফুলটস বানিয়ে স্কয়ারে চার মারেন মোক্তার। শেষ দুই বলে দরকার ৫ রান, আবারো ইয়োর্কার লেন্থে বল এবং ডট। নুরুল হাসান উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে স্ট্যাম্পিং এর আবেদন করলে তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যান মাঠে থাকা আম্পায়ার। কিন্তু বিধিবাম তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যেতেই দেখা যায় মেহেদির পায়ের কোন অংশই দাগের ভিতরে ছিলনা, যাদ ফলশ্রুতিতে নো বল, সাথে ফ্রি হিট। কিন্তু মেহেদি যেন পণ করেছেন জিতেই মাঠ ছাড়বেন, শেষ দুই বলেও ব্যাটসম্যান মোক্তার আলীকে কোন রুমই দেননি মেহেদি, শেষ পর্যন্ত ৩ রানের জয় নিয়েই মেহেদি ও তার দল রাজশাহী।
Comments