মেহেদি মহসিন অর্থঃ রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলা ক্রিকেট। যেখানে রেকর্ড গড়াই হয় ভাঙার জন্য। কেউ কখনও নিশ্চয়তা দিতে পারবে না, তার গড়া রেকর্ড ঠিক কতদিন টিকে থাকবে। তবে ক্রিকেটে এমন অনেক রেকর্ড রয়েছে যা দেখে মুখ হা হতে বাধ্য সবার।
তেমনি কিছু বিরল ও বিস্ময়কর রেকর্ড দিয়ে সাজানো আজকের এই আয়োজনঃ
নব্বইয়ে নড়বড়ে শচীন
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১০০টি সেঞ্চুরির মালিক শচীন টেন্ডুলকার। তবে তার সেই সেঞ্চুরি সংখ্যা বাড়তে পারত আরও অনেক। কেননা তিনি সর্বোচ্চ ১৮ বার আউট হয়েছেন ৯০ এর ঘরে।
দ্রাবিড়ের দুর্ভেদ্য দেয়াল
দ্য ওয়াল খ্যাত রাহুল দ্রাবিড় টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ৩১,২৫৮টি বল মোকাবিলা করেছেন। ইতিহাসের আর কোন ব্যাটসম্যান ত্রিশ হাজার বল খেলতে পারেননি। তার পরে রয়েছেন সতীর্থ শচীন, খেলেছেন ২৯,৪৩৭টি বল।
মহেন্দ্র সিং ধোনি
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসাবে ২০০টি ছয় মারার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। আর কোনও অধিনায়কের এ রেকর্ড নেই।
জিমি ম্যাথিউজ
অস্ট্রেলিয়ান লেগস্পিনার জিমি ম্যাথিউজ ১৯১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে টেস্টে দুটি ইনিংসেই হ্যাটট্রিক করেন। দুটি হ্যাটট্রিক হয়েছিল একই দিনে। এখনও পর্যন্ত অক্ষত রয়েছে এ রেকর্ড।
আজিঙ্কা রাহানে
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৫ সালের ১৪ আগস্ট উইকেটরক্ষক না হয়েও ম্যাচে ৮টি ক্যাচ ধরেছেন। এক ম্যাচে এটিই কোন ফিল্ডারের সর্বোচ্চ ক্যাচের রেকর্ড।
বাপু নাদকার্নি
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯৬৪ সালের চেন্নাই টেস্টে বাপু নাদকার্নি ৩২ ওভার বল করে ২৭টি মেইডেনসহ মাত্র ৫ রান দেন। ইকোনমি রেট ছিল ০.১৫, যা আর কেউ কোনদিন করে দেখাতে পারেননি। সেদিন টানা ২১ ওভার মেইডেন করেছিলেন নাদকার্নি।
শহীদ আফ্রিদি
১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ১৬ বছর ২১৭ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করেছিলেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। এত কম বয়সে আর কেউ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শতরান করতে পারেননি।
জ্যাক কালিস
টেস্ট ক্রিকেটে মোট ২৩ বার ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন জ্যাক ক্যালিস। যে রেকর্ড আর কারও নেই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ বার ম্যাচসেরা হয়েছে শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি মুত্তিয়া মুরালিধরন।
ট্রেভর বেইলি
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৯৫৮ সালের ব্রিসবেন টেস্টে ৩৫৭ মিনিট ব্যাট করে ৩৫০ বল খেলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বেইলি। যা টেস্টের সর্বকালের সবচেয়ে ধীরগতির হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড। যদিও ম্যাচ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়াই।
গ্রায়েম স্মিথ
টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১০৯টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথ। আর কেউ অধিনায়কত্বের সেঞ্চুরি করতে পারেননি। এরপরে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যালান বর্ডার। মোট ৯৩টি ম্যাচে তিনি দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
হাসান রাজা
পাকিস্তানের হয়ে ১৯৯৬ সালে মাত্র ১৪ বছর ২৩৩ দিন বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছেন হাসান রাজা। ক্রিকেট ইতিহাসে তার চেয়ে কম বয়সে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার রেকর্ড নেই আর কারও।
জিম লেকার
ইংল্যান্ডের অফস্পিনার জিম লেকার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৯৫৬ সালে এক টেস্টে সর্বাধিক ১৯টি উইকেট শিকার করেছিলেন। যে রেকর্ড আজও অক্ষত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নেয়ার রেকর্ড রয়েছে সিডনি বার্নসের।
এবি ডি ভিলিয়ার্স
ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি, সেঞ্চুরি ও দেড়শ রানের ইনিংস খেলার রেকর্ড রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্সের দখলে।
Comments