রাশেদুজ্জামান রণ :
‘খরা-বন্যা-শীত
পোড়া কপালে আসেনা ঈদ’
গতবছর বন্যার পর এক চাচীর ঘর মেরামতের সময় এই কথা বলেই চাচীর সে কি হাসি, আমিও হেসে ফেলেছি। কারণ, চাচীর অদম্য হাসির তোড়ে লজ্জা পালিয়েছিল বহু দূর…!
যাইহোক খরা-বন্যা-শীত আমাদের পরিচিত হলেও “করোনা” এক্কেরে অপরিচিত। শুধু আমাদের নয় সারা বিশ্বের জন্যই অপরিচিত মাল এই করোনা। এই মহামারীর ধাক্কায় এ দেশের অর্ধেক মানুষের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড আজ চোটগ্রস্থ। এই মালের ধাক্কা না সামলাতেই এসে পড়েছে ভয়াল বন্যা। এবারের বন্যাও এক্কেরে সর্বগ্রাসী। সব কিছু ভেঙ্গেচুরে, নিঃস্ব-রিক্ত করে মানুষকে পথে নামিয়ে দিচ্ছে। যেনো পোঁদের উপর বিষ ফোঁড়া। বসাও যাচ্ছেনা, ফাটানোও যাচ্ছেনা।
তারপরেও তো একেবারে বসে থেকে তাণ্ডব চালাতে দেওয়া যায় না। তাই আপনাদের ভালবাসা সঙ্গী করে। যমুনা নদী তীরবর্তী বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার বন্যা কবলিত তেকানি চুকাই নগর ও পাকুল্লা ইউনিয়নের ১৫০টি পরিবারের জন্য শুকনো খাবার (চিড়া-মুড়ি-গুড়, টোস্ট, বাচ্চাদের জন্য বিস্কুট), স্যালাইন, কিশোরী ও মহিলাদের জন্য স্যানেটারি ন্যাপকিন এবং অসুস্থ ব্যাক্তিদের জন্য ওষুধ ও ডাক্তার নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলাম।
ক্ষতিগ্রস্থ মানুষেরা অনেক খুশি হয়েছে। তাঁরা আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।
১) আমাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য খেলাঘর, লুব্ধক’১৯, শতদ্রু’২১ ও ক্রিকপ্লাটুন এবং ডা. মেহেদী হাসান লেমন ভাইয়াসহ সকলের জন্য রইল ভালবাসা।
২) সার্ভেতেই আমরা ৬০%+ সময় ব্যয় করি। কারণ, প্রকৃত মানুষের হাতে সাহায্য পৌঁছাবার ব্যাপারে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে, আমাদের জন্য প্রার্থনা করবেন।
০৩.০৮.২০২০ – সোমবার
গত মাসের ২৮ তারিখ বন্যার্তদের জন্য ভালবাসা নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে ক’জনের সাথে কথা হয়। তাদের ভাষ্যানুযায়ী ডিম-মাছ, ডাল-ভর্তা তারা মাঝেমাঝে খেতে পায়। কিন্তু মাংস চোখে দেখলেও পেটে যায় না।
তাই আজ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ২২০জন মানুষের জন্য রান্না করা খাবার (মাংস+ডাল-চালে খিচুড়ি) নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলাম। তাদের খুশি দেখে আমরা আনন্দ পেয়েছি।
Comments